ই-লানিং প্লাটফর্ম

সংস্কৃতির সংগে পরিচয়



সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষ যে এলাকায় বসবাস করে, তার চারপাশের পরিবেশ। এটাকে অন্যভাবে বলা যায়- জীবন চলার পথে বিভিন্ন গোত্রের বিভিন্ন আচরণ ও বিশ্বাসের মূল্যবোধ। নতুন জায়গায় খাপ খাওয়ানোর জন্য সংস্কৃতি
একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটা হচ্ছে মানুষের আচরণ যা বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন রকম। একটি মানুষের আচরণের অভ্যাস যা প্রকৃত বিষয় হিসেবে কাজ করে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কিছু কিছু জটিল ব্যাপার ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকম হয়-
১. ইতিহাসের প্রভাব
২. ভাষা
৩. মূল্যবোধ ও আচরণ
৪. ধর্ম
৫. আইন ও বিচার ব্যবস্থা
৬. সামাজিক ব্যবস্থা
৭. অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
৮. রাজনৈতিক ব্যবস্থা

কিছু সাধারণ সমস্যাঃ প্রবাসী কর্মীরা স্বভাবতই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। গৃহপীড়া (Home Sickness) একটা সাধারণ সমস্যা এবং তা ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে, যা প্রধানত নিম্নোক্ত বিষয়ের জন্য হয়ে থাকে-
১. বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খাপ খাইয়ে নেয়ার সমস্যা
২. পরিবার থেকে বিচ্ছিন হওয়ার অগ্রাহ্যতা
৩. বিভিন্ন খাদ্য, থাকার জায়গা, নিয়োগকর্তার অসম ব্যবহার, কাজের ধরণ অনুপযোগী কার্য পরিবেশ ইত্যাদির জন্য অসন্তুষ্ট থাকা
৪. সামাজিক যোগাযোগ-এর প্রভাব
৫. উন্নয়নের সুযোগের অভাব
৬. ভাষাগত সমস্যা।

সামাজিকভাবে খাপ খাওয়াঃ এ ধরণের অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য প্রবাসী কর্মীদের নিম্নোক্ত কাজসমূহ করা উচিতঃ
১. অন্যদের সাথে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং সমাধান করার চেষ্টা করা
২. যদি দরকার হয় ডাক্তার দেখানো
৩. নিয়মিত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা এবং সুন্দর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা
৪. বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা
৫. ধর্মীয় অভ্যাস অনুশীলন করা।

মহিলা কর্মীদের কর্ম পরিবেশঃ
মহিলা কর্মীরা যারা গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকে তারা নিয়োগকারী পরিবারের সদস্যদের সাথে বসবাস করে। সাধারণত এ ধরণের কাজ শুধু গৃহস্থলের পরিবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তাদের খুব সীমিত গন্ডীর ভিতরে চলাফেরা করতে হয়। তাদের দারিদ্র্য এবং অজ্ঞতা নতুন স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি করে। মহিলা কর্মীদের কর্ম পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক সতর্কতামূলক সচেতনতা প্রয়োজন। যারা গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত তাদেরকে দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হতে পারে যা আট ঘন্টার চেয়ে বেশি। কখনও কখনও শারীরিক নির্যাতন বা যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। এ অবস্থায় নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।

মহিলা অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক জীবনে সাধারণ পরামর্শঃ

  • অন্যান্য প্রবাসী কর্মীর সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে
  • বাইরে যাবার বিভিন্ন পথ বের করতে হবে
  • অন্ধকার জায়গা এড়িয়ে চলা
  • নিজের সমস্যাগুলো সবসময় অন্যকে জানানো
  • লিফটের ভিতর যে সমস্ত ব্যক্তিকে আপনি নিরাপদ মনে করেন না তার সাথে না ওঠা
  • বাসের জন্য বাসস্ট্যান্ডে চিহ্নিত এলাকায় অপেক্ষা করা
  • এমন সব ট্রেন অথবা বাসে ওঠা যে গুলোতে যাত্রী তত্ত্বাবধায়ক থাকে।

 

বিদেশের গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য বিশেষ পরামর্শঃ

  • বাড়িতে বসবাসরত অন্যান্য মানুষদের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপন করা
  • যে মুহূর্তে আপনি উপস্থিত হবেন, বের হয়ে যাওয়ার রাস্তা চিন্তা করতে হবে এবং কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবেলার পরিকল্পনা করতে হবে
  • বিভিন্ন টেলিফোন নাম্বার এবং ঠিকানা সংগ্রহ রাখতে হবে যেন আশ্রয়/সাহায্য নেয়া যায়
  • যাতায়াত এবং টেলিফোনের জন্য হাতে নগদ টাকা রাখতে হয়
  • সমস্ত কাগজপত্র (পাসপোর্ট এবং কাজের ভিসা)-এর অনুলিপি সংগ্রহে রাখতে হবে
  • সবসময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে
  • কর্মরত দেশের আইন সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

 

Back