ই-লানিং প্লাটফর্ম

শিশুর যত্ন



শিক্ষার্থীরা নিম্নোক্ত নির্দিষ্ট বিষয়গুলো শিখবেঃ

  • শিশুকে গোসল করানো
  • শিশুকে পরিস্কার রাখার জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার
  • শিশুকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়ানো
  • হাঁটা শেখানো
  • শিশুদেরকে খাওয়ানো
  • ন্যাপকিন পরিবর্তনের জ্ঞান
  • শিশুদের দোলনা ও বিছানায় শোয়ানোর ব্যবস্থা
  • শিশুদের জন্য আরামদায়ক পরিস্কার পোশাক পরিধান করানো।

 

যে সব বিষয় মনে রাখা দরকারঃ
১. বয়স অনুসারে শিশুর মনস্তত্ত্ব বিষয় বুঝতে হবে
২. শিশু অসুস্থ হলে তার প্রতি সদয় মনোভাব দেখাতে হবে
৩. বোতলে দুধ খাওয়া শিশুদের খাওয়ানো পাত্রের ব্যবহার ও পরিস্কার করা
৪. সঠিকভাবে শিশুকে খাওয়ার সময়সূচি অনুসরণ করতে হবে
৫. শিশুদের খেলার কাজে অংশ নিতে হবে
৬. শিশুর প্রশ্ননুসারে তার উত্তর দিতে হবে
৭. অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে দূরে থাকার জন্য শিশুদের চলাফেরার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা প্রয়োজন।

শিশু যত্নের তালিকাঃ

  • দিনে ২ বার ২-৩ ঘন্টা ঘুমানো
  • শিশুর পাশে কোনো শব্দ এবং অস্বস্তিকর বিষয় থাকবে না
  • সময়মতো খাওয়াতে হবে
  • অতিরিক্ত খাবার দেয়া যাবে না
  • গোসল করাতে হবে।

খাবার অবশ্যই নরম, একটু সুস্বাদু এবং একটু গরম, সঠিক পরিমাণের আয়োডিন, গুকোজ, তেল, প্রোটিন ও ভিটামিন যুক্ত হবে।
এখানে শিশু যত্নের সকল কাজ অন্তর্ভূক্ত থাকবে। প্রশিক্ষণার্থীরা শিশুর গোসল, পরিস্কার করা, খাওয়ানো এবং বিছানায় শোয়ানো ইত্যাদি বিষয়ের ওপর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে। এছাড়া শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় আচরণ সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জন করবে।
শিশু বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের গুরুত্বঃ
একটি শিশুর ভূমিষ্ট হওয়া থেকে শৈশব (০-৫ বছর) কাল পর্যন্ত শিশুদের নিরাপদ বৃদ্ধি লাভের জন্য বন্ধুবৎসল ও উদ্দীপক পরিবেশ প্রয়োজন। নিরাপদ ও বন্ধুবৎসল পরিবেশে যতবেশি ভালোবাসা ও পারস্পরিক যোগাযোগ
নিশ্চিত থাকবে ততবেশি মস্তিষ্ক সেল বৃদ্ধি পাবে যা সারা জীবনের প্রবৃদ্ধিতে সমৃদ্ধ হবে। একটি শিশু যখন যত্নকারীর নিকট হতে সক্রিয় সহযোগিতা পায় যা শিশুর জীবন পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সহায়ক, তখন তাদের জীবনের অন্যান্য কাজ এবং স্কুলের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে। তারা আত্মবিশ্বাসী, ভালো সামাজিকতা এবং পারিবারিক-সামাজিক জীবনে অবদান রাখতে পারে।

 

পরামর্শঃ শিশুদের সাথে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে খেলা করা যায়-

  • লুকোচুরি খেলা, কথা বলা এবং গান করা (এটা শিশুর যত্নে বিশেষ সহায়ক)
  • শিশুকে আপনার পিঠে উঠতে দিন (১-৫ বছর বয়সে)
  • দোল খাওয়ান (১-৫ বছর বয়সে)
  • এক শিশু অন্য শিশুর সঙ্গে ভাব বিনিময় এবং যদি সম্ভব হয় অন্য শিশুর সঙ্গে খেলা করতে দেয়া
  • তাদের সঙ্গে উদ্দীপক খেলা এবং কৌতুক করুন। (শুরুতে আরামদায়ক খেলনা দিন) শিশুদের খেলনা এবং উপকরণের মাধ্যমে খেলে। খেলনা দিন, শিশু পারিপার্শ্বিক জগত, প্রতিবেশ ও অন্যান্যদের জানতে শেখে খেলার মাধ্যমে।

 

খেলনা শিশুদের আরও কিছু শেখায়, যেমন-

  • কিভাবে কাজ করতে হয় তা বের করে
  • নতুন ধারণা তুলে ধরে
  • পেশী নিয়ন্ত্রণ এবং শক্ত করে
  • তাদের কল্পনাশক্তি প্রয়োগ করে
  • সমস্যা সমাধান করে
  • অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা শেখে।

 

Back