ই-লানিং প্লাটফর্ম

আচরণ ও ব্যবহার



সামাজিক আচরণের বিষয়ে পারিবারিক সেবা যত্ন প্রদানকারীর ভূমিকাঃ
১. সঠিকভাবে তাদেরকে সম্মান করতে হবে
২. প্রথমেই কোনো আদেশ-নির্দেশ বুঝে নেয়া, পরে বুঝানো
৩. কাজের গুরুত্ব বুঝে পর্যায়ক্রমে কাজ করা
৪. কোনো কিছু না লুকিয়ে বরং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা
৫. ভদ্রভাবে কথা বলা এবং কাজকে আরো সুন্দর করার জন্য উপদেশ নেয়া
৬. বয়োজ্যেষ্ঠদের নিকট বিশ্বাস অর্জন করা
৭. বাড়ির মালিক, মেহমান, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তির সাথে কীভাবে আচরণ করতে হবে তা জানা।

বিনয়ী হওয়ার জন্য কিছু পরামর্শঃ

  • জীবনের সবচেয়ে বড় নীতি হলো বিনয়ী হওয়া
  • কারো সাথে চিৎকার করে কথা না বলা
  • কারো প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ না করা
  • কথা বলার সময় নম্র স্বরে ও ভদ্রভাবে কথা বলা
  • কারো নিকট থেকে যে রকম আচরণ আশা করা হয় অন্যের সাথে সে রকম আচরণ করা
  • কোনো সমস্যা নিয়ে কারও সাথে আলোচনা করতে গেলে তার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলা
  • উচ্চতর সহকর্মীদের সাথে জনাব/জনাবা বলে সম্বোধন করা
  • সবসময় তাদের নামধরে ডাকা যেমন : মি. চৌধুরী, মিসেস জিনাত ইত্যাদি
  • সবসময় আনন্দময় এবং বিনয়ী থাকতে হবে
  • কাজ করার সময় নিজের সমস্যা অন্যকে না জানানোর চেষ্টা করা
  • সবসময় হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করা
  • ইংরেজিতে একটি বিখ্যাত প্রবাদ মনে রাখা উচিত যে, “আপনি যখন হাসেন তখন আপনার সাথে দুনিয়া হাসে আপনি যখন কাঁদেন তখন একাই কাঁদতে হবে
  • যদি আপনি নিজে মানুষের হাসি-খুশি থাকতে চান মানুষও আপনার সাথে হাসি-খুশি আচরণ করবে।

 

বিনয়ের সাথে কথা বলার কিছু পরামর্শঃ

  • সঠিকভাবে শেখার আগ পর্যন্ত মনোযোগী থাকা
  • ধৈর্য ধারণ করা
  • রসিকতা ভালো কিন্তু কাউকে আঘাত করে কথা বললে তা রসিকতার পর্যায়ে থাকে না।
  • কথা বলার সময় হাসি-খুশি থাকতে হবে
  • মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে
  • টেলিফোন/মোবাইলে সংক্ষেপে কথা বলতে হবে
  • টেলিফোনে সম্বোধন করে কথা বলতে হবে
  • বয়স্কদের সাথে হাসি-মুখে কথা বলতে হবে
  • পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক ও পারস্পারিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

 


হাই তোলার সময় মুখে হাত দিতে হবে: এর দুটি যুক্তি রয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিতে প্রচলিত আছে যে, হাই দেয়ার সময় মুখে হাত না দিলে শয়তান মুখ দিয়ে আপনার অন্তরে ঢুকে আত্মাকে ধ্বংস করে। দ্বিতীয়ত, এটি অস্বাস্থ্যকর কাজ হিসেবে ধরা হয়। তাই এটা যুক্তিসঙ্গত যে হাই দেয়ার সময় মুখে হাত দিতে হবে। ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা খুবই জরুরি।


কাজসমূহের প্রাধান্য নির্ধারণ করঃ
একজন গৃহস্থালি কর্মী হিসেবে প্রত্যেক দিন কাজের তালিকা তৈরী করতে হবে। থাকার ঘর থেকে শুরু করতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, বাচ্চাদের যত্ন নেয়া এবং যদি দরকার হয় রান্না-বান্না করা। সময়মতো শেষ করার জন্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।


সময় সম্পর্কে কিছু পরামর্শঃ

  • কতটুকু সময় হাতে আছে এবং কতটুকু সময় কাজ করতে লাগবে তা বের করতে হবে যাতে প্রতিটি মুহুর্তে সনতুষ্টি সহকারে কাজ সম্পাদন করা যায়।
  • যে কাজই করুন না কেন তা আনন্দের সাথে করতে হবে
  • সফলতার জন্য রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে
  • কোনো কাজে ব্যর্থ হলে দুঃখ না করা বরং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া
  • সকাল বেলা অথবা ঘুমানোর আগে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তদনুযায়ী অগ্রাধিকার দিতে হবে
  • প্রতিদিন কী কী কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে
  • গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং দিন শেষে কাজগুলোর হিসেব করতে হবে
  • পুরো মাসের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং সময় নির্ধারণ করতে হবে
  • আগের কাজ আগে করতে হবে
  • নিজের প্রতি এবং নিজের বিচার বিবেচনায় কাজের গুরুত্বের প্রতি আস্থা থাকতে হবে
  • গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় খুঁজে বের করতে হবে
  • একটা সময়ে একটা কাজেই মনোনিবেশ করতে হবে
  • দরকার হলে অন্যের সাহায্য চাইতে হবে।
  • ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, প্রিমিয়াম বন্ড, ডলার বন্ড ক্রয়
  • বিরাষ্ট্রীয়করণ শিল্প কারখানা ক্রয়
  • সরকারি প্লট ক্রয় (রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ)
  • সরকারি পর্যায়ে এপার্টমেন্ট ক্রয়
  • দুর্ঘটনা, অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে পঙ্গু হলে দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারি ব্যয়ে দেশে ফেরত আসা
  • মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়
  • শিল্প দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ আদায়
  • দেশে বৈধ পন্থায় অর্থ প্রেরণের ব্যবস্থা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদির প্রয়োজনীয় সহায়তা
  • দেশী ব্যাংক-এর শাখার মাধ্যমে দেশে ব্যাংক একাউন্ট খোলা
  • নিয়োগকারী দেশের আইন-কানুন ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ
  • দেশে স্থাবর সম্পত্তি, জমি-জমার নিরাপত্তার জন্য দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।

 

Back