ই-লানিং প্লাটফর্ম

ভিসা এবং চুক্তিপত্র



ভিসা কী এবং কেন প্রয়োজন?

  • ভিসা হলো কোনো দেশে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি স্বরূপ সেই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতিপত্র যা পাসপোর্টের ওপর বিশেষ প্রক্রিয়ায় সিল হিসেবে দেয়া থাকে।
  • ভিসা ছাড়া কোনো দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করা যায় না।
  • অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গেলে পাসপোর্টে অবশ্যই এম্পলয়মেন্ট ভিসা যুক্ত হবে।

ভুয়া ভিসা

  • ভুয়া ভিসায় দেশ ত্যাগের চেষ্টা করলে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আটক ও আইনভঙ্গের জন্য বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
  • ইমিগ্রেশন অতিক্রম করতে পারলেও বিদেশে পৌঁছানোর পর বিদেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে আটক এবং কারাগারে প্রেরিত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী জেল হতে পারে এবং দেশে ফিরে আসলেও আইনের মুখোমুখি হতে হয়।
  • ভুয়া ভিসা নিয়ে কারও পক্ষেই সফল অভিবাসনের মাধ্যমে অভিবাসনের খরচ তুলে আনা সম্ভব নয়।

ভিসা যাচাই

  • সংশিষ্ট দেশের দূতারাবের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা যাচাই করতে পারবেন।

জব কন্ট্রাক্ট ভালোভাবে না দেখলে যা ঘটতে পারে :

  • দালাল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করতে পারে।
  • দালাল ভুয়া জব কন্ট্রাক্ট দেখিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারে।
  • কোম্পানি কর্তৃক নির্বাচিত না হলেও দালাল ভুয়া জব কন্ট্রাক্ট দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতে পারে।

ভুয়া চুক্তিপত্র ভুয়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কেউ যদি বিদেশে গমন করেন তাহলে-
ক) বিদেশে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আটক হতে পারেন ও আইন ভঙ্গের জন্য বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
খ) ইমিগ্রেশন পার হতে পারলেও বিদেশের বিমান বন্দরে নিয়োগকারী সংস্থার কেউ না আসায় অর্থহীন অপেক্ষায় সময় কাটাতে হয়। পরিশেষে বিমানবন্দর থেকেই দেশে ফিরে আসতে হয়।
গ) ভুয়া চুক্তি নিয়ে বিদেশে গিয়ে কারও পক্ষে নতুন কাজ জুটিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
ঘ) চুক্তি সঠিক কিনা জানতে বিএমইটি, বায়রা ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করে এমন এনজিওদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ব্যাংক একাউন্ট ও টাকা-পয়সা

  • স্বামী বা স্ত্রী কিংবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে সংসার খরচ চালানোর জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার পাশাপাশি নিজের নামেও ব্যাংক একাউন্ট করা জরুরি, না হলে বিদেশ থেকে যে টাকা পাঠাবেন, তার ওপর
    আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
  • ডলার বা ট্রাভেলার্স চেক কেনার সময় ব্যাংক থেকে কিনলে সবচেয়ে ভালো দাম পাওয়া যায়; তবে, মানি এক্সচেঞ্জ থেকেও যাচাই করে নেয়া ভালো।

দেশে টাকা প্রেরণঃ কর্মীগণ বিদেশ থেকে টাকা প্রেরণের জন্য দেশে যে কোনো সিডিউল ব্যাংকে একাউন্ট খুলে যাবেন। বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য কর্মরত দেশে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক থাকলে সেখানে যোগাযোগ করলে টাকা পাঠানো সহজে হবে। বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ড্রাফট/টি.টি করেও টাকা পাঠানো যেতে পারে। তা ছাড়া কোনো ব্যাংকে এফসি একাউন্টে ডলার প্রেরণ করা যেতে পারে। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন না। তাতে আপনার টাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং দেশও বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে। এ ছাড়া আপনার সঞ্চিত অর্থ দ্বারা ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ক্রয় করতে পারবেন। এগুলো দূতাবাসসমূহের মাধ্যমে ক্রয় করা যায়।  দেশে টাকা প্রেরণের সুবিধার্থে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাংকসমূহের ঠিকানা পরিশিষ্ট ৩খ এ দ্রষ্টব্য।

Back